এই সাইটটির নাম বাংলা কবিতা না হয়ে বাংলা সাহিত্য হলে ভাল হতো। কারণ এখন আমার ইচ্ছে করছে একটি গল্প লিখব। কিন্তু গল্পটা ছাড়বো কোথায়? যাই হোক আধুনিক যুগে কবিতার সাইজটা কোন কোন সময় গল্পের মতো হয়ে যায়। আমার এই গল্পটা না হয় একটি ‌‌'গল্প কবিতা' বা 'কবিতা-গল্প' হিসেবেই সাহিত্যের নতুন কোন শাখায় স্থান পাবে। আমি আশাবাদী।


কম্পিউটারের কিবোর্ডে অক্ষরগুলো এলোমেলো থাকে বলে ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বাংলা লিখতে একটু অসুবিধা হতো। দীর্ঘ দশ বছর পরে নিজ প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার অপারেটরের অনুপস্থিতিতে বাংলা লেখা খুব জরুরি হয়ে ওঠে। তখন এক রাত্রে প্রায় ১০০ পৃষ্ঠা লিখতে হয়েছিল আমাকেই। হাতে স্পিড চলে আসায় পরবর্তীতে আর কোন অপারেটর নিয়োগ দেইনি। নিজের লেখাগুলো নিজেই লিখতাম। তারপর একসময় কাগজ কলমে সাহিত্য চর্চাটা বাদ পড়ে যায় আধুনিক এই প্রযুক্তির ছোঁয়ায়। কম্পিউটার থেকে লেখা প্রিন্ট করে খামে ভরে পত্রিকা অফিসে পাঠানোর ঝামেলাও শেষ হলো প্রতিটি পত্রিকার ইমেইল একাউন্ট সচল হওয়ার সুবাদে। এখন তো আর অনলাই পত্রিকা-ই চলে আসতেছে। এই যেমন 'বাংলা কবিতা' সাইটে আমি এই লেখাটি যোগ করার সাথে সাথে অনেকেই পড়তে পারবে।


কবিতার আসরে নতুন কবিতা যোগ করতে গিয়ে আমি আসলেই উল্টা-পাল্টা লিখতে শুরু করেছি। পাঠক-পাঠিকারা মাফ করবেন। হয়তো ভাল কোন কবিতা পড়ার জন্যে আপনারা আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু পড়তে গিয়ে এখন বুঝতে পারছেন লেখক লোকটা আসলে একজন পাগল। কী করব বলুন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'শেষের কবিতা'  বইটি যে আসলে কোন কবিতার বই নয় তা তো অনেকেই জানে না। আসলে কবিরা মাঝে মাঝেই অবচেতন মনে কবিতা থেকে দূরে সরে যান। অথবা মনের কথাটি কবিতার ভাষায় লিখতে চান না। এই যেমন একজন কবির কথা- 'কবিতায় আর নতুন করে কি লিখব, যখন বুকের রক্তে লিখেছি একটি নাম, বাংলাদেশ'।


আবার কখনো ক্ষুধার রাজ্যে কবির কলমে কবিতা সহজে আসতে চায়না। তাইতো একজন কবি লিখেছিলেন- 'ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি'। স্যরি, কবিতাটি একটু বেশি লম্বা হয়ে গেল বোধ হয়। কী করবো বলুন, একটি গল্প লিখতে চেয়েছিলাম, লেখা হলোনা। দেখি আরেকটু চেষ্টা করে।